লালমনিরহাট জেলার চাষিরা সরকার নির্ধারিত দামে সার কিনতে পারছেন না। পরিবেশকরা (ডিলার) চাষিদের বাদ দিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। সেই সার খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কারণে এরপরও চাহিদামতো সার পাওয়া যাচ্ছেন না।
ডিআইবি সরকারি দাম ১০৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১০৮০ টাকা, ডিআইবি (বাংলা) সরকারি দাম ১০৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১৬০০ টাকা, টিএসপি (মরক্কো) সরকারি দাম ১৩৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১৪৮০ টাকা, টিএসপি (পতেঙ্গা) সরকারি দাম ১৩৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ২২০০ টাকা, টিএসপি (তিউনিসিয়া) সরকারি দাম ১৩৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১৮০০ টাকা, এমওপি সরকারি দাম ১০০০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১১৫০ টাকা, ইউরিয়া (বল) সরকারি দাম ১৩৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১৩৮০ টাকা, ইউরিয়া (ক্যাপ) সরকারি দাম ১৩৫০ টাকা হলেও কৃষকের কাছে নেয়া হচ্ছে ১৪০০ টাকা। এভাবে সিন্ডিকেটের কারণে একই সার একেক জায়গায় একেক দামে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, সারের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পরিবেশকরা সরবরাহে ঘাটতির কথা জানান। তবে কৃষকরা বলছেন, কারসাজি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে।
লালমনিরহাটে এ বছর শীতকালীন সবজি চাষও চলছে। এ সময় সারের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এ সুযোগ নেন ব্যবসায়ীরা। গুদামে পর্যাপ্ত সার মজুত করে তারা দাম বাড়িয়ে দেন। সারের দামের পাশাপাশি ভুট্টা ও আলুর বীজের দামও বাড়তি।
উল্লেখ্য যে, যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে।